তড়িৎ বিভব (Electric Potential) বলে?
তড়িৎ বিভব (Electric potential): তড়িৎবিভব কোনো তড়িগ্রস্ত বস্তুর এমন এক তড়িৎ অবস্থাকে বোঝায়, যা তড়িদাধানের প্রবাহের বা স্থানান্তরের অভিমুখ নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ, তড়িৎবিভবের মান ঠিক করে দেয় যে বস্তুটি অন্য বস্তু থেকে আধান গ্রহণ করবে , না অপর বস্তুকে আধান ছেড়ে দেবে।
কার্যের ধারণা থেকে তড়িৎ বিভবের সংজ্ঞা: অসীম দূরত্ব থেকে একটি একক ধনাত্মক আধানকে তড়িৎক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে বহন করে আনতে যে পরিমাণ কার্য করতে হয়, তাকে ওই তড়িৎক্ষেত্রের ওই নির্দিষ্ট বিন্দুর বিভব বলা হয়।
তড়িৎ বিভব (V) = কৃতকার্য (W)/তড়িদাধান (q)
তড়িৎ বিভবের একক : CGS পদ্ধতি ও SI-তে তড়িৎ বিভবের একক যথাক্রমে স্থির তাড়িতিক একক ( esu ) বা স্ট্যাটভোল্ট এবং ভোল্ট।
স্ট্যাটভোল্ট : অসীম দূরত্ব থেকে 1 esu বা 1 স্ট্যাটকুলম্ব তড়িদাধানকে কোনো তড়িৎক্ষেত্রের একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে বহন করে আনতে যদি 1 আর্গ কার্য করতে হয়, তবে ওই বিন্দুর তড়িৎ বিভব কে বলা হয় 1 esu বিভব বা 1 স্ট্যাটভোল্ট।
ভোল্ট : অসীম দূরত্ব থেকে 1 কুলম্ব আধানকে তড়িৎক্ষেত্রের কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুতে বহন করে আনতে কৃতকার্য 1 জুল হলে, ওই বিন্দুর তড়িৎ বিভব কে বলা হয় 1 ভোল্ট।
তড়িৎ বিভবের CGS ও SI এককের মধ্যে সম্পর্ক : আমরা কৃতকার্য জানি, তড়িৎ বিভব তড়িদাধান …
1V =1W/1C
=107 erg/(3×109) esu
= 1/300 statvolt
তড়িৎ বিভব এর মাত্রীয় সংকেত:
[V]=[W]/[q]
= [ML2T-2]/[IT]
= ML2T-3I-1
আরও পড়ুন:-
- ওহমের সূত্র ও ওহমের সূত্রের গাণিতিক রূপ | Definition of Ohm’s Law in bengali
- জারণ ক্ষমতা ও বিজারণ ক্ষমতা কি? | পর্যায় শ্রেণি জারণ বিজারণ ধর্ম কিভাবে পরিবর্তিত হয়?
তড়িৎ বিভব কত প্রকার ও কি কি?
তড়িৎবিভব দু – প্রকার। যথা।
1)উচ্চ বিভব ও
2) নিন্ম বিভব
উচ্চ বিভব কাকে বলে?
উচ্চ বিভব ( High Potential ) : যে বিশেষ তড়িৎ অবস্থায় কোনো বস্তু ধনাত্মক আধান বর্জন ও ঋণাত্মক আধান গ্রহণে সক্ষম হয়, তাকে উচ্চ বিভব বলে।
বিকল্প সংজ্ঞা : দুটি তড়িৎগ্রস্ত বস্তুকে একটি পরিবাহী তার দিয়ে যুক্ত করলে যে বস্তুর দিকে ইলেকট্রন প্রবাহিত হয়, সেই বস্তুটির তড়িৎ অবস্থাকে উচ্চ বিভব বলে।
নিম্ন বিভব কাকে বলে?
নিম্ন বিভব (Low Potential) : যে তড়িৎ অবস্থার কারণে কোনো বস্তু ধনাত্মক আধান গ্রহণ বা ঋণাত্মক আধান বর্জন করে থাকে, তাকেই নিম্ন বিভব বলা হয়।
বিকল্প সংজ্ঞা : দুটি তড়িগ্রস্ত বস্তুকে একটি পরিবাহী তার দিয়ে যুক্ত করলে যে বস্তুটি থেকে ইলেকট্রন নির্গত হয়, সেই বস্তুটির তড়িৎ অবস্থাকে নিম্ন বিভব বলে।
সমবিভব তল কাকে বলে?
সমবিভব ভল (Equipotential surface) : তড়িৎক্ষেত্রে অবস্থিত যে – সকল বিন্দুর বিভব সমান তাদের সংযুক্ত করে যে তল পাওয়া যায়, তাকে সমবিভব তল বলা হয়। উদাহরণ — আহিত গোলকের পৃষ্ঠ একটি সমবিভব তলের উদাহরণ।
বিভব প্রভেদ কাকে বলে?
বিভব প্রভেদ (Potential difference) : একটি একক ধনাত্মক আধানকে কোনো তড়িৎক্ষেত্রের দুটি নির্দিষ্ট বিন্দুর মধ্যে একটি থেকে অন্যটিতে স্থানান্তরিত করতে প্রয়োজনীয় কৃতকার্যকে, ওই দুই বিন্দুর বিভবপ্রভেদ বা বিভবপার্থক্য বলে।
বিভবের মতো বিভব প্রভেদেরও একক CGS পদ্ধতিতে স্ট্যাটভোল্ট ও SI- তে ভোল্ট।
বিভবপ্রাভদের পরিমাপ : তড়িৎক্ষেত্রে অবস্থিত দুটি বিন্দু A ও B- এর তড়িৎবিভব ধরা যাক, যথাক্রমে, VA ও VB। +q পরিমাণ ধনাত্মক আধানকে A থেকে B বিন্দুতে বহন করে আনতে কৃতকার্য WAB হলে,
ওই বিন্দুদ্বয়ের বিভবপ্রভেদ ( VB – VA)= q×WAB
covered Topics: তড়িৎ বিভব কাকে বলে?, তড়িৎ বিভবের একক ও মাত্রা সংকেত, বিভব প্রভেদ কাকে বলে?, তড়িৎ বিভব ও বিভব প্রভেদ পার্থক্য, বিভব কাকে বলে,
Pingback: তড়িৎ প্রবাহের তাপীয় ফল কাকে বলে | তড়িৎ প্রবাহের তাপীয় ফলের ব্যবহার | জুলের সূত্র Class10 – Studious