আয়ন কাকে বলে ? আয়ন কয় প্রকার ও কী কী ?স্বাভাবিক অবস্থায় থাকা একটি পরমাণু কীভাবে আয়নিত হয়? মৌলের পরমাণুর আয়নন শক্তি কাকে বলে? এইসব নিয়েই আজ আমাদের আলোচ্য বিষয়। সুতরাং শুরু করা হোক।
আয়ন কাকে বলে? (what is Ions)
উত্তর: আয়ন (lon) : পরমাণু তার সর্ববহিস্থ কক্ষ থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন বর্জন বা গ্রহণ করার ফলে তড়িগ্রস্ত হলে তাকে আয়ন বলে। যেমন Na + , CI— ইত্যাদি।
আয়ন কত প্রকার ও কি কি?
আয়নের প্রকারভেদ : আয়ন দুই প্রকার
ক্যাটায়ন (Cation) : ধনাত্মক তড়িগ্রস্ত আয়নকে বলা হয় ক্যাটায়ন। যেমন Ca2+, H+ ইত্যাদি।
অ্যানায়ন (Anion) : ঋণাত্মক তড়িগ্রস্ত আয়ন অ্যানায়ন নামে পরিচিত। যেমন -CI-, 0²-
- নিউক্লিয় বল (Nuclear Force) কাকে বলে? | বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি
-
ক্যালোরিমিতির মূলনীতি (Principles of Calorimetry) | ক্যালোরিমিটার কি?
আয়ন কিভাবে সৃষ্টি হয়?
- পরমাণুর আয়নে রূপাত্তর : নিউক্লিয়াস থেকে দূরত্ব সর্বোচ্চ হওয়ার জন্য পরমাণুর সর্ববহিস্থ কক্ষ বা যোজ্যতা কক্ষে থাকা ইলেকট্রনগুলি নিউক্লিয়াসের প্রতি অত্যন্ত দুর্বলভাবে আকৃষ্ট থাকে। তাই এই ইলেকট্রনগুলিকে প্রায় মুক্ত ইলেকট্রন বলা হয়। তাপ, আলো, তড়িৎ বা চৌম্বক ক্ষেত্র ইত্যাদির মাধ্যমে সামান্য বাহ্যিক শক্তি প্রয়োগ করে এরূপ এক বা একাধিক ইলেকট্রনকে পরমাণু থেকে বাইরে বের করে আনা অথবা যোজ্যতা কক্ষে বাইরে থেকে এক বা একাধিক ইলেকট্রন প্রবেশ করানো সম্ভব হয়। পরমাণু স্বাভাবিক অবস্থায় নিস্তড়িৎ। তাই ইলেকট্রন অপসারণের ফলে তার মধ্যে ইলেকট্রন ঘাটতি অর্থাৎ , ধনাত্মক আধান উদ্বৃত্ত হয় এবং ইলেকট্রন সংযোজিত হলে তা অতিরিক্ত ঋণাত্মক আধান লাভ করে। এই অবস্থায় প্রশম পরমাণু যথাক্রমে ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নে পরিণত হয়।
- আয়নের উৎপত্তির কারণ : পরমাণুর আয়নে রূপান্তরণে প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হল পরমাণুটির ইলেকট্রন বিন্যাস । যে – সমস্ত মৌলের সর্ববহিস্থ কক্ষে 1 , 2 বা 3 টি ইলেকট্রন থাকে তারা এক বা একাধিক ইলেকট্রন বর্জন করে ক্যাটায়ন উৎপন্ন করার প্রবণতা দেখায় । আবার যে – সমস্ত মৌলের সর্ববহিস্থ কক্ষে 5 , 6 বা 7 টি ইলেকট্রন থাকে তারা এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ করে অ্যানায়ন উৎপন্ন করার প্রবণতা দেখায় । যে – সমস্ত পরমাণুর সর্ববহিস্থ কক্ষ ইলেকট্রন দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে তারা সহজে আয়নিত হতে চায় না।
***আয়োনাইজেশান শক্তি (lonisation Energy) : সর্বনিম্ন শক্তিস্তরে থাকা কোনো মৌলের একটি বিচ্ছিন্ন (Isolated) গ্যাসীয় পরমাণুর সর্ববহিস্থ কক্ষের (যোজন কক্ষ) সর্বাপেক্ষা শিথিলভাবে আবদ্ধ ইলেকট্রনটিকে নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত ও অপসারিত করে অসীম দূরত্বে নিয়ে গিয়ে ও পরমাণুটিকে এক একক ধনাত্মক আধানবিশিষ্ট ক্যাটায়নে পরিণত করতে যে ন্যূনতম শক্তির প্রয়োজন হয় , তাকে ওই মৌলের আয়োনাইজেশন শক্তি বা আয়নন বিভব বলে।
X ( g ) + আয়োনাইজেশন শক্তি ( IE ↑ ) – → X + ( g ) + e-
পোস্ট টি পড়ে উপকৃত হলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আমাদের ব্লগ a
Image source- https://astronomy.swin.edu.au/cosmos/i/ion
Pingback: আলোর প্রতিসরণ | প্রতিফলনের নিয়ম ও সূত্র | প্রতিসরাঙ্ক ও স্নেলের সূত্র – Studious
Pingback: লীনতাপ কাকে বলে? | লীন তাপের একক – Studious
Pingback: তড়িৎ ঋণাত্মকতা (Electronegativity) কাকে বলে | তড়িৎ ঋণাত্মকতা কি – Studious