Skip to content

আলোর প্রতিসরণ | প্রতিফলনের নিয়ম ও সূত্র | প্রতিসরাঙ্ক ও স্নেলের সূত্র

আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে স্নেলের সূত্র

আজ আমরা এই পোস্ট টির মাধ্যমে আজ আমার জানবো আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে? আলোর প্রতিসরণের কারণ গুলি কি কি? বিভেদতল বলতে কী বোঝায়? স্নেলের সূত্রটি কি? প্রতিসরাঙ্ক কাকে বলে ? এর একক কী? ইত্যাদি।

আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?

আলোর প্রতিসরণ ( Refraction of Light) : আলোকরশ্মি কোনো সমসত্ত্ব স্বচ্ছ মাধ্যম দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য কোনো সমসত্ত্ব মাধ্যমে প্রবেশ করলে দুই মাধ্যমের বিভেদতল থেকে আলোকরশ্মির গতির অভিমুখের পরিবর্তন ঘটে। এই ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।

আলোর প্রতিসরণ কেন হয়?

আলোর প্রতিসরণের কারণ: দুটি ভিন্ন মাধ্যমে আলোকরশ্মির বেগের মানের পার্থক্যই প্রতিসরণের কারণ। ঘন মাধ্যমে আলোর বেগ কম, লঘু মাধ্যমে বেশি। সুতরাং , ঘন থেকে লঘু মাধ্যমে তির্যক আপতনের ক্ষেত্রে আলোকরশ্মি একই সময়ে ঘন মাধ্যমে যে দূরত্ব অতিক্রম করে, লঘু মাধ্যমে অতিক্রান্ত দূরত্ব তার থেকে বেশি হতে হয়। এই কারণে রশ্মির অভিমুখ পরিবর্তন ঘটে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে , লম্বভাবে আপতিত রশ্মি বিভেদতল অতিক্রম করে দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রবেশ করলে বেগের মান পরিবর্তিত হলেও গতির অভিমুখ পরিবর্তন হয় না। তাই ব্যাপক অর্থে বলা যায়— আলোকরশ্মির বিভেদতল অতিক্রম করার ঘটনাই হল আলোর প্রতিসরণ।

বিভেদতল (Interface) : দুটি আলাদা আলাদা ঘনত্বের মাধ্যমের সংযোগস্থলের তলটিকে ওই দুই মাধ্যমের বিভেদতল বলা হয়। একটি কাচের গ্লাসে কিছুটা জল নিয়ে উপর থেকে দেখলে যে তলটি চোখে পড়ে, তা হল ‘ বায়ু ও জলের বিভেদতল ‘। আবার, গ্লাসটির গা বেয়ে অল্প পরিমাণ নীল কেরোসিন তেল ঢেলে পাশ থেকে দেখলে যে নীলরঙের গোলতলটি চোখে পড়ে , তা হল ‘ নীল কেরোসিন ও জলের বিভেদতল ’।

 

আলোর প্রতিসরণের সূত্র দুটি বিবৃত ও ব্যাখ্যা করো।

আলোর প্রতিসরণের প্রথম সূত্র (Laws of refraction) : প্রথম সূত্র আপতিত রশ্মি, প্রতিসৃত রশ্মি ও আপতন বিন্দুতে দুই মাধ্যমের বিভেদতলের ওপর অঙ্কিত অভিলম্ব সর্বদা একই সমতলে থাকে।

আলোর প্রতিসরণের দ্বিতীয় সূত্র বা স্নেলের সূত্র– নির্দিষ্ট বর্ণের আলোকরশ্মি এবং নির্দিষ্ট দুটি মাধ্যমের ক্ষেত্রে আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদা ধ্রুবক হয়।

স্নেলের সূত্রের ব্যাখ্যা : প্রথম সূত্র অনুসারে, আপতিত রশ্মি PO , প্রতিসৃত রশ্মি OQ এবং আপতন বিন্দু -তে বিভেদতল CD- র ওপর

অঙ্কিত অভিলম্ব MON একই সমতলে অবস্থান করে। দ্বিতীয় সূত্রানুযায়ী, আপতন কোণ i এবং প্রতিসরণ কোণ r হলে নির্দিষ্ট মাধ্যমের জন্য sin i/sin r= 1µ2। ধ্রুবক।µ কে বলা হয় ওই ওই নির্দিষ্ট বর্ণের আলোর জন্য প্রথম মাধ্যমের সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক, এর মান ব্যবহৃত আলোর বর্ণ ও মাধ্যমদ্বয়ের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। দ্বিতীয় সূত্রটি প্রখ্যাত ডাচ বিজ্ঞানী উইলব্রড স্নেলের (Willebrord Snell) নাম অনুসারে স্নেলের সূত্র বলে পরিচিত।

প্রতিসরাঙ্ক কাকে বলে ? এর একক কী?

প্রতিসরাঙ্ক ( Refractive index ) : প্রতিসরাঙ্ক হল কোনো আলোকীয় মাধ্যমের উপাদানের এমন একটি ধর্ম, যার মানের ওপর ওই মাধ্যমে প্রবেশ করা অর্থাৎ, প্রতিসৃত আলোকরশ্মির গতির অভিমুখ এবং ওই মাধ্যমে আলোর বেগের মান নির্ভর করে।

কোনো মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক (µ) = শূন্যস্থানে আলোর বেগ (c)/ওই মাধ্যমে আলোর বেগ (v)

যেহেতু শূন্যস্থানে আলোর বেগ (c) যে – কোনো পার্থিব বস্তুর ক্ষেত্রে বেগের সর্বোচ্চ সীমা সুতরাং , বলা যায় যে শূন্যস্থান থেকে কোনো জড় মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট বর্ণের আলোকরশ্মি প্রবেশ করলে ওই রশ্মির বেগ যতগুণ হ্রাস পায় সেই সংখ্যাটিই হল ওই নির্দিষ্ট বর্ণের রশ্মির জন্য ওই মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক।

দুটি সমজাতীয় রাশির অনুপাত হওয়ায় প্রতিসরাঙ্ক একটি এককবিহীন সংখ্যা মাত্র।

Covered Topics: আলোর প্রতিসরণের সূত্র গুলি লেখ, আলোর প্রতিসরণের নিয়ম, আলোর প্রতিসরণ কয়টি নিয়ম মেনে চলে, কোন মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক আলোর বেগের উপর কিভাবে নির্ভর করে, স্নেলের সূত্রের ব্যাখ্যা, স্নেলের সূত্র।

Share this

Related Posts

Comment us

1 thought on “আলোর প্রতিসরণ | প্রতিফলনের নিয়ম ও সূত্র | প্রতিসরাঙ্ক ও স্নেলের সূত্র”

  1. Pingback: প্রিজমের চ্যুতি কোণের রাশিমালা | প্রিজমের চ্যুতি কোণ কাকে বলে – Studious

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook Page