Skip to content

ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি | ভারতের রাষ্ট্রপতি পদের শর্তাবলি

হ্যালো ভিজিটর, নমস্কার আমাদের ব্লগ studiouss.com এ। আজ আমরা আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি ভারতের রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কিছু সুন্দর topic। আমরা জানবো ভারতের রাষ্ট্রপতির যোগ্যতা, ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, ভারতের রাষ্ট্রপতি পদের শর্তাবলি, রাষ্ট্রপতির ইমপিচমেন্ট ইত্যাদি।

ভারতীয় সংবিধানের অংশ V- এর 52-78 অনুচ্ছেদে কেন্দ্রীয় শাসন বিভাগ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় বিভাগ রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসভা এবং ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে গঠিত।

ভারতের রাষ্ট্রপতি (President of India)

অনুচ্ছেদ 52-তে রাষ্ট্রপতির দফতরের কথা বলা হয়েছে। ভারতীয় শাসনব্যবস্থার শীর্ষে রয়েছে রাষ্ট্রপতি। তিনি ভারতের প্রথম নাগরিক এবং জাতির ঐক্য, সমন্বয় ও সংহতির প্রতীক।
ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন- ড.রাজেন্দ্র প্রসাদ।ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

ভারতের রাষ্ট্রপতির যোগ্যতা (Qualification of President of Indial)

অনুচ্ছেদ 58 অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য একজন ব্যক্তিকে নিম্নলিখিত যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে

[i] তিনি ভারতীয় নাগরিক হবেন। তিনি কমপক্ষে 35 বছর বয়সি হবেন।

[ii] তাঁকে লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।

[iii] তিনি কোনো সরকারি লাভজনক পদে থাকতে পারবেন না।

ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি (Election of President of India)

👉রাষ্ট্রপতি জনগণের দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত হন না, একটি নির্বাচক সংস্থার সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হন। এই নির্বাচক সংস্থার সদস্যদের মধ্যে থাকেন —–
[i] সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচিত সদস্যগণ,
[ii] রাজ্য বিধানসভার নির্বাচিত সদস্যগণ ,
[iii] দিল্লি , পুদুচেরি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আইনসভার নির্বাচিত সদস্যগণ।
মনোনীত সদস্যগণ রাষ্ট্রপতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন না।

👉বিধানসভা ভেঙে গেলে তার সদস্যগণ আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকারী থাকেন না।

👉একজন বিধায়কের ভোটের মূল্য=[রাজ্যের মোট জনসংখ্যা ÷বিধানসভার নির্বাচিত মোট সদস্যসংখ্যা]×1/100

👉একজন সাংসদের ভোটের মূল্য= [সব ক-টি রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক ÷সংসদের নির্বাচিত মোট সদস্যসংখ্যা]

👉একক হস্তান্তরযোগ্য ভোট দ্বারা সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে এবং গোপন ব্যালটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

👉যে প্রার্থী 50 % ভোট পেয়ে থাকেন তিনিই নির্বাচিত হন কোটা=[বৈধ ভোটের সংখ্যা÷2]+1

👉রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম নির্বাচক মণ্ডলীর 50 জন দ্বারা প্রস্তাবিত ও 50 জন দ্বারা সমর্থিত হতে হয় ।

👉রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনয়নপ্রার্থীকে ভারতীয় মুদ্রায় 15000 টাকা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকে জমা রাখতে হয়।

রাষ্ট্রপতির পদের শর্তাবলি

অনুচ্ছেদ 59 : সংবিধানের এই অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি পদের বিভিন্ন শর্তাবলির উল্লেখ করা হয়েছে—

তিনি পার্লামেন্ট বা কোনো রাজ্য আইনসভার সদস্য হতে পারবেন না। এমন কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত হন সেই দিনই তাঁকে তার আইনসভার আসনটি খালি করে দিতে হয়।

তিনি কোনো লাভজনক পদে আসীন থাকতে পারবেন না। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবনে বিনা ভাড়ায় থাকতে পারবেন (রাষ্ট্রপতি ভবন)।

তিনি সংসদ নির্ধারিত বেতনভাতা ও সুযোগসুবিধা ভোগ করার অধিকারী। তিনি তাঁর পদে বহাল থাকাকালীন তাঁর বেতন এবং ভাতা হ্রাস করা যায় না।

অনুচ্ছেদ 60 : রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ →

রাষ্ট্রপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং তাঁর অনুপস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্টের প্রবীণতম বিচারপতি। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতিকেও এই শপথ নিতে হয়।

 

আরও পড়ুন:-

রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ

অনুচ্ছেদ 56 অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাঁর পদে আসীন হওয়ার দিন থেকে 5 বছর পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকেন।

তিনি তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাইলে উপরাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র পাঠাতে পারেন।

রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা ইমপিচমেন্ট

অনুচ্ছেদ 61 অনুসারে সংবিধান ভঙ্গের অপরাধে রাষ্ট্রপতিকে ইমপিচমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে অপসারণ করা যায়।

সংবিধান ভঙ্গের অভিযোগ সংসদের যে – কোনো কক্ষে আনা যায়।

অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট কক্ষের মোট সদস্যের এক-চতুর্থাংশের দ্বারা স্বাক্ষরিত হতে হবে এবং রাষ্ট্রপতিকে অন্তত 14 দিন আগে নোটিশ দিতে হবে। উত্থাপনকারী কক্ষে অন্তত দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থিত হলে প্রস্তাবটি ওপর কক্ষে প্রেরিত হয়। অপর কক্ষ অভিযোগটি অনুসন্ধান করে দ্যাখে।

অনুসন্ধান চলাকালীন রাষ্ট্রপতি চাইলে স্বয়ং আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারেন। অনুসন্ধানকারী কক্ষের মোট সদস্যের দুই -তৃতীয়াংশ দ্বারা অভিযোগটি স্বীকৃত ও সমর্থিত হলে সেই দিন সেই মুহূর্ত থেকে রাষ্ট্রপতি তাঁর পদ থেকে অপসারিত হন।

রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা

অনুচ্ছেদ 62 অনুযায়ী নম্নলিখিত যে-কোনোভাবে রাষ্ট্রপতির পদটি শূন্য হতে পারে—

তাঁর 5 বছরের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে, তিনি ইস্তফা দিলে।

ইমপিচমেন্ট পদ্ধতিতে তিনি অপসারিত হলে, তাঁর মৃত্যু ঘটলে। তিনি পদের অযোগ্য বিবেচিত হলে, তাঁর নির্বাচনটি বাতিল হয়ে গেলে।

তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁর শূন্য স্থান (মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে) পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন।

ঐ ইস্তফা, অপসারণ, মৃত্যু কিংবা অন্য কোনো কারণে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হয়ে গেলে ছ-মাসের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে হয়। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি তাঁর কার্যকালের সম্পূর্ণ মেয়াদ অর্থাৎ 5 বছর স্বপদে আসীন থাকেন।

Covered Topics:- ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, ভারতের রাষ্ট্রপতি কিভাবে নির্বাচন করা হয়?,
ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতির নাম কি?, ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি  পার্লামেন্টের কোন সদস্যরা অংশ নিয়ে থাকে?, ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি গৃহীত হয়েছে কোন দেশ থেকে?, ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

Share this

Related Posts

Comment us

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook Page