প্রিয় পাঠকেরা, আগের পোস্ট গুলিতে আমরা আলোচনা করেছি ভারতের সংবিধান সম্পর্কে, ভারতের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি সম্পর্কে। আজ আমরা এই পোস্ট টি তে আলোচনা করবো ভারতের সংবিধানের উৎস সম্পর্কে, আমরা জানবো ভারতের সংবিধানের কোন অংশ কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় সংবিধানের উৎস
1935 খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনে সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, গভর্নরের দফতর প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যসহ ভারতীয় সংবিধান রচনার পরিকল্পনা গৃহীত হয়। এ ছাড়াও ভারতীয় সংবিধানের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য বিদেশি সংবিধানগুলি থেকে গৃহীত।
● ব্রিটিশ সংবিধান : বিভিন্ন পদ ও সেগুলির কার্যাবলি সংক্রান্ত ব্যবস্থা, সংসদীয় শাসনব্যবস্থা, আইনের শাসন সংক্রান্ত ধারণা, আইন রচনার প্রক্রিয়া, সিএজির দফতর, এক নাগরিকত্ব, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা।
● আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান : মৌলিক অধিকারের ধারণা , বিচারসংক্রান্ত পর্যালোচনা ও বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা , লিখিত সংবিধান , প্রস্তাবনা , উপরাষ্ট্রপতির পদ।
● আয়ারল্যান্ডের সংবিধান : রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশাত্মক নীতিসমূহ (আয়ারল্যান্ড আবার এটি স্পেন থেকে গ্রহণ করেছিল), রাষ্ট্রপতির নির্বাচন পদ্ধতি, রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি দ্বারা সদস্য মনোনয়ন।
● কানাডার সংবিধান : আধা – যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ( শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার সহ যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ) , অতিরিক্ত ক্ষমতার ধারণা, কেন্দ্র কর্তৃক রাজ্যের রাজ্যপাল নিয়োগ এবং সুপ্রিমকোর্টের উপদেষ্টা এলাকা।
●তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার সংবিধান : মৌলিক কর্তব্য এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা।
● অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান : যৌথ তালিকা , ব্যাবসাবাণিজ্য সংক্রান্ত ব্যবস্থা, প্রস্তাবনার ভাষা, সংসদের যৌথ অধিবেশন।
● জার্মানির সংবিধান : জরুরি অবস্থা চলাকালীন মৌলিক অধিকার রদ।
● দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধান : সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি। ফ্রান্সের সংবিধান : সাম্য , মৈত্রী ও স্বাধীনতার ধারণা।
● জাপানের সংবিধান : সুপ্রিমকোর্টের কার্যপরিচালনার নিয়মাবলী।
সম্পূর্ণ বুঝতে পেরে ভালো লাগছে
Notun ajke janlam
Pingback: রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশমূলক নীতি | রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশাত্মক নীতি (DPSP) ব্যাখ্যা কর – Studious