Skip to content

ইন সিটু সংরক্ষণ কাকে বলে ? | এক্স সিটু সংরক্ষণ কাকে বলে?

  • by
ইন সিটু সংরক্ষন কাকে বলে_এক্স সিটু সংরক্ষন কাকে বলে

নমস্কার বন্ধুরা, আজ আমরা এই পোস্ট টি লিখছি ইন সিটু (In-Situ Conservation) ও এক্স সিটু সংরক্ষণ ( Ex-Situ Conservation ) সম্বন্ন্ধে। আমরা এই পোস্টটি টিতে জানবো ইন সিটু সংরক্ষণ কাকে বলে? এক্স সিটু সংরক্ষণ কাকে বলে, এক্স সিটু সংরক্ষণ ও ইন সিটু সংরক্ষণের পার্থক্য, এক্স সিটু সংরক্ষন এর পদ্ধতি, এক্স সিটু সংরক্ষনের সুবিধা ও অসুবিধা আরো অনেক কিছু।

ইন সিটু সংরক্ষন কাকে বলে?

ইন সিটু সংরক্ষণ (In-Situ Conservation): মূল প্রাকৃতিক বাসস্থানে অর্থাৎ, জীবের নিজস্ব পরিবেশে সংরক্ষণ করাকে ইন-সিটু সংরক্ষণ বলে।

ইন সিটু সংরক্ষনের উপায়: জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য, সংরক্ষিত বনাঞ্চল , বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ প্রভৃতি।

ইন সিটু সংরক্ষনের সুবিধা :

1) কোনো জীবকে তার নিজস্ব বাসস্থানে সংরক্ষণ করা হলে সম্পর্কযুক্ত অন্যান্য জীবও সংরক্ষিত হয়ে যায়।

2) একটি জীবপ্রজাতি বাস্তুতন্ত্রে বেঁচে থাকার অর্থ হল ওই বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা অর্থাৎ, বাস্তুতন্ত্রের পরিবর্তনের ক্রিয়াগুলি সচল থাকে।

ইন সিটু সংরক্ষনের অসুবিধা :

1) অনেক বড়ো জায়গার প্রয়োজন হয় যা সবসময় পাওয়া যায় না।

2) এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল সংরক্ষণ ব্যবস্থা।

3) দক্ষ বনকর্মীর অভাব ও পরিকাঠামোগত সমস্যা থাকলে সবসময় ইন – সিটু সংরক্ষণ সফল হয় না।

আরও পড়ুন:

এক্স সিটু সংরক্ষণ কাকে বলে?

এক্স সিটু সংরক্ষণ ( Ex-Situ Conservation ): জীববৈচিত্র্যকে তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের বাইরে বিশেষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃত্রিম পরিবেশে সংরক্ষণ করাকে এক্স – সিটু সংরক্ষণ বলে।

এক্স সিটু সংরক্ষন এর পদ্ধতি : চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, জিন ও বীজ ব্যাংক, অনুশীলন উদ্যান, ক্রায়োসংরক্ষণ প্রভৃতি।

এক্স সিটু সংরক্ষনের সুবিধা :

1) দুর্বল ও বিপন্ন প্রজাতিকে সংরক্ষিত করা সম্ভব।

2) অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদদের সংরক্ষণ করা হয়।

এক্স সিটু সংরক্ষনের অসুবিধা :

1) যেহেতু সীমিত সংখ্যক প্রাণীদের সংরক্ষণ করা হয় তাই এই সমস্ত জীবদের মিলনে উৎপন্ন অপত্যে জিনগত বৈচিত্র্য দেখা যায় না।
2) যে-সমস্ত জীবকে সহজে বশ মানানো যায় না , তাদের ক্ষেত্রে জননকোশ (শুক্রাণু ও ডিম্বাণু) সংগ্রহ ও সংরক্ষণে যথেষ্ট সমস্যা দেখা যায়।

এক্স সিটু সংরক্ষণ ও ইন সিটু সংরক্ষণের পার্থক্য

  • পরিবেশ: ইন সিটু সংরক্ষনে জীবকে প্রাকৃতিক পরিবেশে রেখে সংরক্ষিত করা, অপরদিকে এক্স-সিটু সংরক্ষনে জীবকে প্রাকৃতিক পরিবেশের বাইরে রেখে সংরক্ষিত হয় করা হয়।
  • সংরক্ষিত জীব: ইন-সিটু সংরক্ষনে বিপদগ্রস্ত জীব ছাড়া অন্যান্য জীবও সংরক্ষিত হয়, অপরদিকে এক্স-সিটু সংরক্ষনে কেবলমাত্র নির্দিষ্ট জীবই সংরক্ষিত হয়।
  • উদাহরণ: জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য প্রভৃতি স্থানে ইন – সিটু সংরক্ষণ করা হয়। বোটানিক্যাল গার্ডেন , চিড়িয়াখানা প্রভৃতি স্থানে এক্স – সিটু সংরক্ষণ করা হয়।

 

আমাদের এই পোস্ট টি ভালো লাগলে আমদের কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আমাদের blog a লেখা পাঠানোর জন্য email করুন [email protected] এ। অথবা whatsapp করুন +917699574113 এই নম্বর এ।