Skip to content

ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ( Vice President of India) l উপরাষ্ট্রপতির ক্ষমতা

ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ( Vice President of India) l উপরাষ্ট্রপতির ক্ষমতা

আমরা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আগের পোস্টগুলোতে পড়েছি ভারতের রাষ্ট্রপতি সম্বন্ধে, রাষ্ট্রপতির ভেটো ক্ষমতা, নির্বাচনের পদ্ধতি ইত্যাদি। আমরা এই পোস্ট টিতে জানবো ভারতের উপরাষ্ট্রপতি র সম্বন্ধে।

ভারতের উপরাষ্ট্রপতি

অনুচ্ছেদ 63 -তে বলা হয়েছে, ভারতে একজন উপরাষ্ট্রপতি থাকবেন। তিনি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে আসীন। রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচন পদ্ধতি একইরকম।

উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচক সংস্থার সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচিত ও মনোনীত সদস্যগন।

উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় বিরোধ নিষ্পত্তির দায়িত্ব সুপ্রিমকোর্টের।

**ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন —ড.সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ।

**ভারতের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি — ভেঙ্কাইয়া নাইডু।

উপরাষ্ট্রপতির যোগ্যতা

1) উপরাষ্ট্রপতিকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।

2) কমপক্ষে 35 বছর বয়সি হতে হবে ।

3) তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।

উপরাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ

অনুচ্ছেদ 69 অনুযায়ী উপরাষ্ট্রপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি, অথবা তাঁর তরফ থেকে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি।

উপরাষ্ট্রপতি পদের শর্তাবলি

তিনি পার্লামেন্ট বা কোনো রাজ্য আইনসভার সদস্য হতে পারবেন না।

তিনি কোনো লাভজনক পদে আসীন থাকতে পারবেন না।

উপরাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ

তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার মাধ্যমে যে-কোনো সময় তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন।

পদে আসীন হওয়ার দিন থেকে 5 বছর পর্যন্ত তিনি স্বপদে বহাল থাকেন।

উপরাষ্ট্রপতির অপসারণের প্রস্তাব রাজ্যসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলে এবং লোকসভার অধিকাংশ সদস্য সেই প্রস্তাব সমর্থন করলে তাঁকে পদচ্যুত করা যায়। ( অনুচ্ছেদ 67b)।

তিনি একাধিকবার নির্বাচিত হতে পারেন।

উপরাষ্ট্রপতি র পদে শূন্যতা

নিম্নলিখিত যে কোনোভাবে উপরাষ্ট্রপতির পদটি শূন্য হতে পারে—

  • তাঁর 5 বছরের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলে, তিনি ইস্তফা দিলে, তিনি পদচ্যুত হলে কিংবা তাঁর মৃত্যু ঘটলে।
  • তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁর শূন্য স্থান (মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে) পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন।
  • ইস্তফা, অপসারণ, মৃত্যু কিংবা অন্য কোনো কারণে উপরাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের মাধ্যমে সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে হয়।
  • নবনির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি তাঁর কার্যকালের সম্পূর্ণ মেয়াদ অর্থাৎ 5 বছর পর্যন্ত স্বপদে আসীন থাকেন

উপরাষ্ট্রপতির বেতন ও ভাতা

রাজ্যসভার সভাপতি হিসেবে উপ-রাষ্ট্রপতি তাঁর পদাধিকার বলে বেতন ভোগ করে থাকেন। তাঁর বর্তমান মাসিক বেতন 1,25,000 টাকা।

উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি মাসিক বেতন পান 4,00,000 টাকা।

উপরাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলি

1) উপরাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার সভাপতি হিসেবে কাজ করে থাকেন। এক্ষেত্রে তাঁর ক্ষমতা ও কার্যাবলি লোকসভার স্পিকারের মতোই।

2) ইস্তফা, অপসারণ, মৃত্যু কিংবা অন্য কোনো কারণে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হয়ে গেলে উপরাষ্ট্রপতি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির ভূমিকা পালন করেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি সর্বাধিক 6 মাস কাজ করতে পারেন।

3) যতদিন পর্যন্ত উপ-রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি হিসেবে কাজ করেন ততদিন তিনি রাজ্যসভায় সভাপতি হিসেবে কাজ করতে পারেন না। ওইসময় রাজ্যসভার সহসভাপতি সেই দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

4) ইস্তফা, অপসারণ, মৃত্যু কিংবা অন্য কোনো কারণে রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি উভয়ের পদ শূন্য হয়ে গেলে সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি কিংবা তাঁর অনুপস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্টের প্রবীণতম বিচারপতি রাষ্ট্রপতির ভূমিকা পালন করেন।

1969 খ্রিস্টাব্দে প্রথমবার , ড . জাকির হোসেন মারা যান এবং উপ রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি পদত্যাগ করেন, তখন প্রধান বিচারপতি এম হিদায়াতুল্লাহ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে কাজ করেন।

Share this

Related Posts

Comment us

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook Page