খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ভারতের বৈদিক ব্রাহ্মণ্যধর্মের আড়ম্ভর, ব্যয়বহুল পূজা, পুরোহিত প্রাধান্য, কুসংস্কার ইত্যাদি থেকে মুক্তি লাভের জন্য মানুষ উদার ও মানবতাবাদী ধর্মের সন্ধান করতে থাকেন থাকেন।
এই অবস্থায় মানুষের চিন্তার জগতে যে ক্রমবিবর্তন শুরু হয় তা থেকে প্রতিবাদী ধর্ম মতের উদ্ভব হয়।
প্রতিবাদী ধর্মের সংখ্যা ছিল 63 টি। বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম ছিল প্রধান ধর্ম। এই আন্দোলনের আদর্শ গুলি ছিল–
- ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরোধিতা,অহিংস ধর্মাচরণ।
- সাম্যের দাবি।
- সকল মানুষের ধর্ম পালনের অধিকার।
- বর্ণ প্রথার বিরোধিতা।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সম্প্রদায়গুলি ছিল উচ্ছেদবাদ,আজীবক।
বৌদ্ধধর্ম: গৌতম বুদ্ধ
পরিচিতি নেপালের কপিলাবস্তুর কাছে লুম্বিনী নামক স্থানে 576 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে বৈশাখী পূর্ণিমা দিনে বুদ্ধদেব জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা ছিলেন শুদ্ধোধন। কৌশল রাজবংশের মহামায়া তার মা। বুদ্ধদেবের জন্মের সাতদিন পরে তার মা মারা যান বৈমাত্রেয় মা গৌতমি কাছে তিনি প্রতিপালিত হন। 16 বছর বয়সে যশোদার সঙ্গে তার বিবাহ হয়। 13 বছর দাম্পত্য জীবন যাপন করেন এবং তার একমাত্র ছেলের নাম ছিল রাহুল।
সংসারিক দুঃখ-কষ্ট ব্যাধি ও মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তির খোঁজে পুত্র রাহুলের জন্মদাত্রী তিনি মাত্র 29 বছর বয়সে গৃহত্যাগ করেন এই গৃহত্যাগের ঘটনাটি মহাভীনিষ্ক্রমণ পরিচিত।
গৃহ ত্যাগের পর প্রথমে গৌতম বুদ্ধ বৈশালী শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিত আলারা কালামের কাছে শাস্ত্র অধ্যায়ন করেন পরে তিনি রুদ্রক রাম পুত্রের কাছে যোগ শিক্ষা গ্রহণ করেন।
গোয়ার কাছে নীরাজোনা নদীর তীরে উরুবিল্ব নামক গ্রামে একটি অশ্বথ্ গাছের নিচে দীর্ঘকাল তারপর তিনি পরম জ্ঞান বা বোধি প্রাপ্ত হন।
তিনি যে অশ্বত্থ গাছের নিচে তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন তা বোধিবৃক্ষ নামে পরিচিত এবং ওই স্থানটি বুদ্ধগয়া নামে পরিচিত।
ভগবান বুদ্ধ বারানসী সারনাথে মৃগদাভে তার প্রথম পাঁচজন অনুরাগী শিষ্যদের মধ্যে নিজ ধর্মমত প্রচার করেন। এরা হলেন ইন্দ্রজিৎ, মহানাম, বাষ্প, ভদ্রীক, কুন্ডিল্য। এই 5 জন শিষ্য “পঞ্চভিক্ষু” নামে পরিচিত।
বুদ্ধের এই ধর্মপ্রচারের ঘটনাকে বলা হয় ধর্মচক্র প্রবর্তন। প্রসঙ্গত, ধনী ব্যবসায়ী অনাথপিন্ডিক এর অর্থ সাহায্যে বুদ্ধদেব তার ধর্ম প্রচারের জন্য যেতবন বিহার নির্মাণ করেন এটি ছিল বৌদ্ধ ধর্মের প্রথম বিহার।
আনুমানিক 486 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে 80 বছর বয়সে মল্ল রাজ্যের রাজধানী কুশিনগর গৌতম বুদ্ধের মহাপ্রয়াণ ঘটে
অষ্টাঙ্গিক মার্গ বা অষ্টপথ কী?
গৌতম বুদ্ধের মৃত্যুর পর তার উপদেশ গুলো কে আটটি ভাগে ভাগ করা হয় যাকে অষ্টাঙ্গিক মার্গ বলা হয়।
এই গুলি হল–
- সঠিক বিশ্বাস
- সঠিক চিন্তা ভাবনা
- সঠিক কর্ম
- সঠিক জীবন যাপন
- সঠিক প্রচেষ্টা
- সঠিক বক্তব্য
- সঠিক বুদ্ধিমত্তা এবং
- সঠিক মনোযোগ।
গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর
- গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন-563 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে।
- বুদ্ধদেব প্রথম কোথায় ধর্ম প্রচার করেন?-সরনাথে।
- বৌদ্ধদের ধর্মগ্রন্থ কোন ভাষায় রচিত?- পালি ভাষায়
- বুদ্ধচরিত কাব্য গ্রন্থটি কার রচনা?-অশ্বঘোষ।
- প্রথম বৌদ্ধ সম্মেলন কোথায় সংঘটিত হয়? -রাজগৃহে। সভাপতি- মহাকশ্যপ।
- প্রথম বৌদ্ধ সম্মেলন এর উদ্দেশ্য কি ছিল?-বুদ্ধের বাণী গুলি বিনয় পিটক ও সূত্র পিটক সংকলিত হয়
- দ্বিতীয় বৌদ্ধ সম্মেলন এর উদ্দেশ্য কি ছিল?- থেরবাদী এবং মহাসংঘিকা বিভক্ত হয়।
- তৃতীয় বৌদ্ধ সম্মেলন কোথায় সংঘটিত হয়?- পাটলিপুত্রে।
শাসক ছিলেন-অশোক।
সভাপতি ছিলেন- উপগুপ্ত ।
উদ্দেশ্য ছিল-অভিধম্ম পিটক এর সংকলন। - চতুর্থ বৌদ্ধ সম্মেলন কত খ্রীষ্টপূর্বাব্দে হয়?- 72 খ্রিস্টপূর্বাব্দে,
শাসক ছিলেন- কনিষ্ক,
সভাপতি ছিলেন বসুমিত্র। - চতুর্থ বৌদ্ধ সম্মেলনের উদ্দেশ্য কি ছিল?- হীনযান এবং মহাযান দুটি শাখার বিভাজন।
- বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিমোক্ষ কথাটির নির্দেশ করে- বৌধ সংঘের দ্বারা প্রবর্তিত পালনীয় নিয়ম।
- বিনয় পিটক এর সংকলক হলেন-উপালি
- গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন-563 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে।
- বুদ্ধদেব প্রথম কোথায় ধর্ম প্রচার করেন?-সরনাথে।
- বৌদ্ধদের ধর্মগ্রন্থ কোন ভাষায় রচিত?- পালি ভাষায়
- বুদ্ধচরিত কাব্য গ্রন্থটি কার রচনা?-অশ্বঘোষ।
- প্রথম বৌদ্ধ সম্মেলন কোথায় সংঘটিত হয়? –রাজগৃহে। সভাপতি- মহাকশ্যপ।
- প্রথম বৌদ্ধ সম্মেলন এর উদ্দেশ্য কি ছিল?-বুদ্ধের বাণী গুলি বিনয় পিটক ও সূত্র পিটক সংকলিত হয়
- দ্বিতীয় বৌদ্ধ সম্মেলন এর উদ্দেশ্য কি ছিল?- থেরবাদী এবং মহাসংঘিকা বিভক্ত হয়।
- তৃতীয় বৌদ্ধ সম্মেলন কোথায় সংঘটিত হয়?- পাটলিপুত্রে।
শাসক ছিলেন-অশোক।
সভাপতি ছিলেন- উপগুপ্ত ।
উদ্দেশ্য ছিল-অভিধম্ম পিটক এর সংকলন। - চতুর্থ বৌদ্ধ সম্মেলন কত খ্রীষ্টপূর্বাব্দে হয়?- 72 খ্রিস্টপূর্বাব্দে,
শাসক ছিলেন- কনিষ্ক,
সভাপতি ছিলেন বসুমিত্র। - চতুর্থ বৌদ্ধ সম্মেলনের উদ্দেশ্য কি ছিল?- হীনযান এবং মহাযান দুটি শাখার বিভাজন।
- বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিমোক্ষ কথাটির নির্দেশ করে- বৌধ সংঘের দ্বারা প্রবর্তিত পালনীয় নিয়ম।
- বিনয় পিটক এর সংকলক হলেন-উপালি